ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার অন্তর্গত মির্জারহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং,রোজ শুক্রবার জ্যোতি ফোরামের ব্যবস্থাপনায় এবং ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম ও অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় ‘ফ্রি চিকিৎসা সেবা,ঔষধ বিতরণ এবং পুনর্বাসন সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি ২০২৪’ সম্পন্ন।
সকাল ১০ টায় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জ্যোতি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান উপদেষ্টা,বিশিষ্ট মাইজভাণ্ডারী লেখক ও গবেষক জনাব মোহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভাণ্ডারী। তিনি বক্তব্যে বলেন,”মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ মানুষের বিবেক।যেটি অন্য সৃষ্টির মধ্যে নেই।মানুষের সমস্ত কর্মকাণ্ড বিবেককে জাগ্রত করার জন্য।আমাদের চেতনা জাগ্রত করতে হলে সকল মানবসন্তানের ভেতরকার দুঃখ-বেদনা-যাতনা উপলব্ধি করতে হবে।মূলত,মানুষের জন্য ধর্ম।ধর্মের জন্য মানুষ নয়।আমাদের মানবতার চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে এবং এধরণের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার প্রকাশ ঘটাতে হবে”।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী জনাব উৎপল বড়ুয়া, প্রকল্প ব্যবস্থাপক জনাব রিদুয়ানুল হাকিম রিয়াদ, প্রজেক্ট অফিসার জানব আনাস হোসেন সাজিদ, স্পন্সরশীপ অফিসার জনাব বিষু চক্রবর্তী,যুবসংগঠন কায়ো বাংলাদেশ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা আবদুল তারেক,ইয়ুথ ভয়েস অব চেইঞ্জ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশ কর্মকর্তা মোঃ জিহাদ। ভূজপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব লিটন কুমার দে, জ্যোতি ফোরামের উপদেষ্টা সর্বজনাব মোহাম্মদ ওমর ফারুক,ব্যাংকার শফিউল আজিম সুমন, ব্যাংকার এহসান উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইব্রাহীম, কামরুল ইসলাম রাফি, জ্যোতি ফোরামের সভাপতি জনাব জয়নাল আবেদীন তাওরাত এবং সাধারণ সম্পাদক জনাব নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফ সহ আশেকানে হক ভান্ডারী শোকর – এ মওলা মনজিল ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ-সদস্যবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
কর্মসূচীর প্রথম ধাপে ডা. পঞ্চানন দাশ,ডা. সাইফুল কবির এবং ডা. রাজেশ দাসের নেতৃত্বে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চিকিৎসা ক্যাম্পে প্রায় দেড় শতাধিক রোগীকে পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র প্রদানপূর্বক ফ্রি ঔষধ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও,সেবাগ্রহণকারী রোগীরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা এবং যাবতীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে ভবিষ্যতেও উক্ত কর্মসূচীর আওতাভুক্ত হবে।
পরিশেষে,উক্ত এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে প্রায় ১০০ পরিবারকে পুনর্বাসন সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।