উপমহাদেশের অন্যতম আধ্যাত্বিক কেন্দ্র মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ। কঠোর রেয়াজত সাধনায় মহান আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়া অসংখ্য আউলিয়া ক্বেরামের মাজার শরীফ ও আওলাদে রাসুলগণের(দ.) বসবাস এ দরবারে। ভারত,পাকিস্তান,মায়ানমারসহ আমাদের দেশ জুড়ে রয়েছে এ দরবার বা মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা সংশ্লিষ্ট অসংখ্য আউলিয়া ক্বেরাম বা খলিফায়ে মাইজভাণ্ডারীগণ। এছাড়া রয়েছে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আশেক।
মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের আওলাদেপাকগণ ভক্ত আশেকদের যুগের চাহিদানুযায়ী যুগপযোগী ত্বরিকতের শিক্ষা দিচ্ছেন ও পরিচালনা করে আসছেন। দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করছেন। আশেক ভক্তগণও তা অনুসরণে দেশ ও দশের কল্যাণে নিবেদিত হচ্ছেন।
মাইজভাণ্ডার শরীফের পাশে রয়েছে হিন্দু বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বসবাস।
এছাড়া কওমী আক্বিদা বিশ্বাসীসহ অন্যান্য আক্বিদা ও ত্বরিকা বিশ্বাসীদের বসবাস। চতুর্পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি কওমী মাদ্রাসা। প্রত্যক ধর্মাবলম্বীরা ও অন্যান্য আক্বিদা বিশ্বাসীরা নিজ নিজ আচার অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে সহবস্থান করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। ভ্রাতৃত্ব,সাম্য,শান্তিপ্রিয় এতদাঞ্চলের মানুষের মাঝে কোন সময় ধর্ম বা আক্বিদা নিয়ে মারামারি,হানাহানি,সংঘাত সৃষ্টি হয়েনি।
ব্রিটিশ,পাকিস্তান,বাংলাদেশের দীর্ঘ শাসন আমলে কোন সময় এ মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আঘাত হানার সাহস কেউ করেনি।
সম্প্রতি এ শান্তি বিনষ্ট করার লক্ষে কিছু উগ্রপন্থী ও কুচক্রী মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ নিয়ে বাজে মন্তব্য এবং এ দরবারে হামলা করার ঘোষণা দিচ্ছে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে।
সকলকে এ ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। এলাকার শান্তি রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব কুচক্রীদের প্রতিহত করতে হবে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনারও জোর দাবী জানাচ্ছি।
শুধু মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ নয়,
সত্যিকারের কোন আউলিয়া ক্বেরামের মাজারে হামলা আমরা সমর্থণ করিনা। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কোথাও যদি ভণ্ডামী চলে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হামলায় নয় তা আলোচনা বা আইনের মাধ্যমে বন্ধ হোক।